সব্জী ও ঔষধ বোঝাই গাড়িতে করে মদ পাচার , সাতটি গাড়িকে আটক করলো বাঁকুড়া থানা

28th April 2020 বাঁকুড়া
সব্জী ও ঔষধ বোঝাই গাড়িতে করে মদ পাচার , সাতটি গাড়িকে আটক করলো বাঁকুড়া থানা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :করোনা সতর্কতায় দেশ জুড়ে লক ডাউন। মদ বিক্রি সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। আর ঠিক তখনই রাতের অন্ধকারে বাঁকুড়া শহর সংলগ্ন ভাদুলের ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট বেভারেজস্ কর্পোরেশনের ওয়েব হাউস থেকে সাতটি ছোটো গাড়িতে বিদেশী মদ পাচার হচ্ছিল। বিষয়টি স্থানীয় মানুষের নজরে আসতেই বাঁকুড়া সদর থানায় খবর দেন। রাতেই পুলিশ ঐ সাতটি গাড়ি আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

    স্থানীয় বাসিন্দা সাধন ব্রহ্মচারী বলেন, যে সাতটি গাড়ি আমরা আটক করেছি কোনটিতে সব্জী গাড়ি, আবার কোনটিতে মেডিসিন লেখা ছিল। এই মদ পাচারের ঘটনায় বড়সড় কোন চক্র যুক্ত আছে বলে তিনি দাবী করেন।

    সিমলাপালের পার্শ্বলা এলাকার সরকার অনুমোদিত মদ দোকানের মালিক জগবন্ধু মালের দাবী, সরকারী বৈধ কাগজপত্র নিয়েই তারা মদ নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু কি কারণে পুলিশ তাদের থানায় নিয়ে এসেছে তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। একই দাবী করেন আর এক মদ বিক্রেতা চন্দন আচার্যও। তিনি বলেন, সরকারী অনুমোদন নিয়েই সরকারী গোডাউন থেকে নিয়ে যাচ্ছি।

   কিন্তু এখন জেলা জুড়ে একটাই প্রশ্ন লক ডাউনে সারা রাজ্যে যখন মদ বিক্রি নিষিদ্ধ তখন এই বিপুল পরিমান মদ কোথায় যাচ্ছিল। এর উত্তর খুঁজছে পুলিশ।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।